জীবনের সার্বভৌমত্ব
জীবনের স্বাধীনতা
জীবনের আত্ম মর্যাদা
জীবনের আত্ম উপলব্ধি
জীবনের আত্ম মালিকানা
নিশ্চিত না হলে নিছক রাষ্ট্রের স্বাধীনতার মুল্য নেই। যা বিশ্ব ইনসানিয়াত বিপ্লবের প্রবর্তক আল্লামা ইমাম হায়াত কর্তৃক উপস্থাপিত খেলাফতে ইনসানিয়াতের সুস্পষ্ট দিশা প্রমাণ বহন করে।
এ স্বাধীনতা সর্বজনীন কল্যাণমূলক নয় তাই নিরাপদ জীবন নিরাপদ মানবতার নিশ্চয়তা দিতে পারেনা। প্রাকৃতিক দুর্ভিক্ষের চেয়ে বিশ্ব ব্যাপী আজ রাজনৈতিক দুর্ভিক্ষ ই জীবন ও জগতের উপর মানুষ ও মানবতার মহা সংকট তৈরি করে রেখেছে।
প্রাকৃতিক দুর্ভিক্ষ নয় রাজনৈতিক দুর্ভিক্ষই জীবন মানবতার সংকট। পৃথিবীতে বহু রাজনৈতিক দল তৈরি হয়েছে, প্রচলিত সংখ্যার গণতন্ত্রের নামে বহু নির্বাচনও অনুষ্ঠিত হয় যার মাধ্যমে রাষ্ট্রের শাসকের পরিবর্তন হচ্ছে কিন্তু শাসনের নামে শোষণ নিপীড়ন হত্যা জুলুমের নীতির পরিবর্তন হয়নি বরং মানুষের জীবনের সার্বভৌমত্ব জীবনের স্বাধীনতা মৌলিক মানবাধিকার অনিশ্চয়তার কারাগারের কনডেম সেলেই হয়েগেছে।
রাষ্ট্র ও বিশ্ব ব্যবস্থা বা কাঠামো মুলত দুই ধরনের রাজনীতির চর্চার মধ্য দিয়ে হয় কোথাও একক গোষ্ঠীর কোথাও একক ধর্মের অথবা কোথাও একক জাতীয়তাবাদের একচেটিয়া অবৈধ স্বৈরতা পাশবতা জুলুমের আধিপত্যই প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।
★ ধর্মের নামে অধর্ম উগ্রবাদী অপরাজনীতি
★ নাস্তিক্য উদ্ভুত বস্তুবাদী চেতনার জাতীয়তাবাদী অপরাজনীতি ই অখন্ড অবিভাজ্য বিশ্ব মানবতাকে খন্ডিত ধ্বংস করে একক ভাষার, একক বর্ণের, একক গোত্রের, একক ধর্মের, একক জাতীয়তাবাদের নামে সাম্প্রদায়িক শত্রুতা সৃষ্টির মাধ্যমে বিভেদ বৈষম্য সংঘাত বিদ্বেষ ছড়িয়ে বিশেষ শ্রেণির কতৃত্ব আধিপত্য কায়েম করার মধ্য দিয়ে জীবনের উপর, জীবনের সার্বভৌমত্ব ও স্বাধীনতার উপর সত্য ও মানবতার কতৃত্ব আধিপত্যের পরিবর্তে জীবনের মুল নয় বরং স্রষ্টা ও স্রষ্টার রেসালাত প্রদত্ত উপকারী উপকরণ মাত্র এমন কিছুকে পরম সত্য বানিয়ে গন্তব্য বানিয়ে জীবনকে এসব বস্তু ভিত্তিক গন্ডিতে আবদ্ধ করে ফেলেছে। তাদের মধ্য অন্যতম উপকরণসমুহ হলো ভাষা-ভূমি-পেশা-লিঙ্গ-গোত্র-অর্থ-বর্ন-বর্ডার ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য।
প্রাকৃতিক মানবিক দৃষ্টিতে মানব সত্তার সংজ্ঞা মানবজীবনের সংজ্ঞা, মানুষের সংজ্ঞা, মানবতার সংজ্ঞা, মানুষ ও মানবতার সীমা পরিধির জীবনগত ব্যাখ্যা, জীবনের সত্যগত ব্যাখ্যা, জীবনের আত্মিক ও রাজনৈতিক ব্যাখ্যা বিশ্বের কোথাও প্রাতিষ্ঠানিকভাবে সাংগঠনিকভাবে রাষ্ট্রীয়ভাবে আজ একদম নেই।
মানুষ বা মানবজীবন বলতে তার বর্ন গোত্রকে বুঝায় না, ভাষা পেশাকে বুঝায় না, লিঙ্গ ও বর্ডারকে বুঝায় না তার আত্মসত্তাকে বুঝায়। মানবসত্তা বা মানবজীবন কেউ সৃষ্টি করতে পারেনা কেবল স্রষ্টা ছাড়া স্রষ্টার আলোর উসিলায়।
মানুষের আত্মা-সত্তা, জীবন-চেতনা, বিশ্বাস-আদর্শ অক্ষুণ্ণ না থাকলে সে অবয়বে বায়োলজিকাল মেডিকেল মানুষ থাকলেও তাঁর ভিতরে সত্য উপলব্ধি মিথ্যা জুলুমের প্রতি ঘৃণা, সব মানুষের প্রতি দয়ামায়া-ভালোবাসা, আবেগ অনুভূতি, বিবেকবোধ ন্যায় বোধ, মানবতাবোধ থাকবেনা আর তখন তাকে দিয়েই তার ও সব মানুষের সীমাহীন ক্ষতি সাধন করার যাবে, যা আজ করে যাচ্ছে সত্য ও মানবতার শত্রু বাতেল জালেম অপশক্তির মতবাদ।
এই অপশক্তির গ্যাং কখনো ধর্মের নামে অধর্ম অজ্ঞতা মুর্খতার আঁধার বিকৃতির জুলুমকে জীবন ও জগতের উপর ধর্ম বা ধর্মের রাজনীতির নামে চালাতে চেষ্টা করে। তা ইসলামের ছদ্ধবেশী মোনাফেক বাতেল ফেরকা ও অন্যান্য অধর্ম উগ্রবাদী জঙ্গিবাদী মুর্খরা করেছে। যদিও প্রকৃত ধর্মের মুল কথা-ই হলো মানবতা, সব মানুষের স্বাধীনতা।
আবার কখনো অন্যদিকে ধর্মের নামে নয় কিন্তু প্রকৃত সত্য তথা ইসলাম ও জীবনের সম্পুর্ন বিপরীত সর্বমিথ্যার উৎস নাস্তিক্য উদ্ভুত বস্তুবাদী মতবাদের জাতীয়তাবাদী অপচেতনা স্রষ্টা প্রদত্ত জীবনের উপকরণ ভাষা-পেশা-লিঙ্গ-বর্ন-গোত্র-বর্ডার ভিত্তিক জাত,জাতীয়তা, জাতীয় দিবস সংস্কৃতি রাজনীতি ও রাষ্ট্র বিশ্ব ব্যবস্থার মাধ্যমে প্রতিষ্ঠা করে।
ফলে এতে ভাষা পেশার বৈষম্য, লিঙ্গ বর্ণের বৈষম্য, গোত্র বর্ডার ভিত্তিক দ্বন্দ্ব সংঘাত বাড়তে থাকে। এসব বস্তু ভিত্তিক চেতনা মানবিক ও ঈমানী চেতনা বন্ধন ধ্বংস করে জীবনকে কুক্ষিগত মানবতাকে খন্ডিত ধ্বংস করে গোটা মানবমন্ডলীর ক্ষতি সাধন করে দিয়েছে।
একক গোষ্ঠীর নয় সব মানুষের রাষ্ট্র, একক ধর্মের নয় সব ধর্মের রাষ্ট্র, একক জাতীয়তাবাদের নয় সব জাতির রাষ্ট্র ই জীবনের অনুকূল রাষ্ট্র, মানবতা সুরক্ষার রাষ্ট্র।
সবার অধিকার স্বাধীনতা মালিকানা ইজ্জত নিরাপত্তা মর্যাদা রক্ষার নিরাপদ আশ্রয়স্থল যা আজ বিদ্যমান না থাকায় প্রতিষ্ঠিত না হওয়ায় মানুষ ও মানবতার মুক্তি নেই স্বাধীনতা নেই।
তাই রাষ্ট্র ও বিশ্ব ব্যবস্থা কোন রাজনীতির দ্বারা নিয়ন্ত্রিত পরিচালিত ও প্রভাবিত তার উপর নির্ভরশীল দুনিয়ার প্রতিটি মানুষের কল্যাণ অকল্যাণ, জড়িত সৌভাগ্য দুর্ভাগ্য, স্বাধীনতা পরাধীনতা, জয় পরাজয়।
সেজন্য মানুষ ও মানবতার মুক্তির জন্য, জীবনের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের লক্ষ্যে জীবনের আসল সত্য বুঝতে, প্রকৃত উৎস ও গন্তব্যের দিকে এগিয়ে যেতে শান্তি মুক্তির দিশা “খেলাফতে ইনসানিয়াত” এর আলোকিত চির উজ্জল চির আপোষহীন চির কল্যাণময়ী মানবজীবনের রাজনৈতিক কাঠামো রাষ্ট্র কাঠামো বিশ্ব কাঠামো গড়ে তোলা অত্যাবশ্যক জরুরি।
এ যুগে আত্মা বিনাশী, জীবন ও মানবতা ধ্বংসাত্মক, সত্য বিরোধী ন্যায় বিরোধী এবং সব মানুষ ও সব ধর্মের শত্রু, সর্বমিথ্যার উৎস ঘৃণ্য বস্তুবাদ থেকে মুক্ত করে মানব জীবনের পুনর্জীবনদানকারী সৈয়দ ইমাম হায়াত দিশা দিলেন যে, জীবন সব বস্তুর উর্ধ্বে স্রষ্টা ভিত্তিক স্রষ্টার আলোকে, রাষ্ট্র বিশ্ব একক গোষ্ঠীর নয় সবার সব মানুষের, প্রত্যেক মানুষ তাঁর নিজ জীবনের মালিক এমনকি সে দুনিয়ারও সম্মিলিত মালিক।
তাই তাকে(কোন মানুষকে) কেউ উৎখাত বা উচ্ছেদ বা নিষিদ্ধ ও খুন করতে পারেনা। প্রতিটি মানুষের বিশ্বাস আদর্শ নিয়ে সে স্বাধীনভাবে চলার সবার মত রুটিরুজি পাওয়ার মৌলিক অধিকার পুর্ণরুপে আছে যা দিয়েছেন জীবনের স্রষ্টা ও স্রষ্টার মহান রেসালাত সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লাম।
আত্মার মুক্তি জীবনের মুক্তি এবং সর্বময় শান্তির নিরাপদ জীবন ও নিরাপদ রাষ্ট্র বিশ্ব ব্যবস্থার রূপরেখা কাঠামোর নাম-ই খেলাফত যা উৎখাত করে দিয়েছে ইসলামের মুল ধারা মহামহিম আহলে বায়েতের বিপরীতে অবস্থানকারি, শত্রুতাকারি, সাহাবি হত্যাকারী চুক্তিভঙ্গকারি, শট প্রতারক মোয়াবিয়া এবং মোয়াবিয়াবাদি এযিদবাদী স্বৈরতন্ত্রের ধারার সাথে দুনিয়া ব্যাপী অন্যান্য অপশক্তির আরো দুই ধারাও খেলাফতে ইনসানিয়াতের নিরাপদ নির্ভেজাল ধারাকে ধ্বংস করতে যুদ্ধে লিপ্ত আছে
এক, বস্তুবাদী মতবাদের জাতীয়তাবাদী অপচেতনা এবং
দুই, বিভিন্ন ধর্মের নামে অধর্ম উগ্রবাদী চেতনার স্বৈরতান্ত্রিক মুলুকিয়য়তের অমানবতা পাশবতার ধারা।
বস্তুবাদ মুক্ত জীবন- একক গোষ্ঠীর স্বৈরতা মুক্ত, অসাম্প্রদায়িক সর্বজনীন মানবিক কল্যাণমূলক নিরাপদ রাষ্ট্র বিশ্ব ব্যবস্থা গড়লেই জীবনের সার্বভৌমত্ব জীবনের স্বাধীনতা-জীবনের মৌলিক মানবাধিকার সুপ্রতিষ্ঠিত হবে একশত ভাগ সত্য। না হয় বিকৃত হবে সত্য, অবরুদ্ধ হবে জীবন, কুক্ষিগত হবে রাষ্ট্র বিশ্ব বিধ্বস্ত হবে মানবতা ।
তাই মানুষ হিসেবে মানবিক সাম্যের রাজনীতির মাধ্যমে সব মানুষের জন্য মানবতার রাষ্ট্র বিশ্ব গড়ে তোলার জন্য সচেষ্ট হোন। সত্য ও মানবতার মুক্তির ইমাম আল্লামা ইমাম হায়াত কর্তৃক উপস্থাপিত দিশায় জীবন সত্যের ভিত্তিতে জীবনের আত্মিক-রাজনৈতিক উভয় দিক দিয়ে ঈমান ও মানবতার চেতনায়- সব মানুষের মুক্তির কল্যাণে মানবতা ভিত্তিক একমাত্র রাজনৈতিক দল ও দর্শন বিশ্ব ইনসানিয়াত বিপ্লবে শামিল হোন।
জীবনের সত্য উপলব্ধি, জীবনের সত্য স্রষ্টা ও স্রষ্টার আলো ভিত্তিক আত্মপরিচয় বুঝে নিন এবং তাঁদের দেয়া মৌলিক মানবাধিকারের অনুকূল সার্বজনীন মানবিক গণতান্ত্রিক কল্যাণমূলক মানবতার রাজনীতির মাধ্যমে মানবতার রাষ্ট্র মানবতার দুনিয়া গড়তে এগিয়ে আসুন। মানবতার শুভশক্তি ঐক্যবদ্ধ হলে অপরাজনীতির সৃষ্ট কৃত্রিম রাজনৈতিক সংকট অবশ্যই দূরীভূত হয়ে মানবতার রাজনীতির উদয়ে মানবজীবন মুক্তি পাবে রাষ্ট্র বিশ্ব বস্তুবাদী অধর্ম উগ্রবাদী অপরাজনীতি ও তাদের সৃষ্ট স্বৈরতা মুলুকিয়ত থেকে সুরক্ষা পাবে।
লেখকঃ
মাঈন উদ্দিন টিটু
(ওয়ার্ল্ড সুন্নী মুভমেন্ট
ওয়ার্ল্ড হিউম্যানিটি রেভুলেশন)
মন্তব্য করুন