ইনসানিয়াতের দৃষ্টিতে জীবনের আত্মমালিকানা এবং রাষ্ট্র ও দুনিয়ার সম্মিলিত মালিকানা

ইনসানিয়াতের দৃষ্টিতে জীবনের আত্মমালিকানা এবং রাষ্ট্র ও দুনিয়ার সম্মিলিত মালিকানা

সব মানুষের জীবনের আত্মমালিকানা এবং রাষ্ট্রীয় ও দুনিয়ার সম্মিলিত মালিকানা অক্ষুণ্ণ থাকার প্রক্রিয়ার নাম ইনসানিয়াতের রাষ্ট্র কাঠামো তথা আল্লামা ইমাম হায়াত প্রবর্তিত বিশ্ব ইনসানিয়াত বিপ্লব।

এখানে, জীবনের আত্মমালিকানা বলতে বুঝায় স্বীয় জীবনের উপর নিজ মালিকানা কর্তৃত্ব বজায় থাকা অর্থাৎ নিজ জীবনের উপর অন্য কারো অন্যায় আধিপত্য কর্তৃত্ব জবরদস্তি না থাকা। জীবন কোন বস্তুর নিকট পরাধীন না হওয়া, বস্তুর উর্ধে জীবনের মুক্ত স্বাধীন সার্বভৌমত্ব বজায় থাকা যা কিনা প্রত্যেক মানুষের জন্য স্রষ্টার অশেষ দান।

আমি আমার জীবন আমার মতপথ আমার বিশ্বাস আমার জীবনাদর্শ এসমস্ত কিছু নিয়ে আমার জীবনের কৃত্রিম বাধাহীন বিকাশ ই হল জীবনের আত্মমালিকানার বৈশিষ্ট্য।

স্রষ্টার দান অনুযায়ী আমি যেভাবে আমার জীবনের মালিক ঠিক একইভাবে সব মানুষ তার নিজ নিজ জীবনের মালিক। আর এই মালিকানা বজায় রাখার জন্যই সব মানুষের প্রত্যেক মানুষের জীবনের আত্মমালিকানা নির্ভর রাষ্ট্র কাঠামো হল মানবতার রাষ্ট্র। মানবতার রাষ্ট্র হলে সবার জীবনের মালিকানা স্বীকার করা হয়ে যায়। রাষ্ট্র সব মানুষের জীবনের নিকট একাউন্টেবল হয়ে যায় তথা জীবনের জন্য রাষ্ট্র হিসেবে কাজ করে, রাষ্ট্র জীবনের মালিক হয়ে যায় না।

রাষ্ট্র সবার দুনিয়া সবার পরোক্ষ ভাবার্থ হল স্রষ্টা সবার স্রষ্টার আলো দয়া রহমত গুনাবলী নেয়ামত সব মানুষের প্রতিটি মানুষের। সূর্যের আলোর যেমন গণ্ডি নেই, অক্সিজেনের প্রবাহধারার যেমন রুদ্ধতা নেই, প্রতিটি মানুষের জন্য এসব যেমনিভাবে প্রবাহমান, তেমনি মানুষের কল্যাণে স্রষ্টার সৃষ্টি সকল কিছুর উপর সব মানুষের প্রতিটি মানুষের হক আছে অধিকার আছে যা থেকে কাউকে বঞ্চিত করা প্রাকৃতিক আইনবিরুদ্ধ গর্হিত অন্যায় অপরাধ।

কোন বিবেকবান মানুষ সম্পদের মুক্ত প্রবাহকে কোন ধরনের প্রতিবন্ধকতার মাধ্যমে রুদ্ধ করে রাখতে পারে না এবং অন্য কাউকেও তা করতে দিতে পারে না। যেমন, অক্সিজেন স্রষ্টার দান। এই অক্সিজেনকে আমার পাওয়ার অধিকার আছে, এখন এই অধিকারবলে আমি কি কারো টুটি চেপে ধরে রাখতে পারি? কখনোই না। এটা জঘন্য অন্যায়৷ এই টুটি চেপে ধরে রাখার রাষ্ট্রকাঠামোর নাম হল বস্তুবাদ উদ্ভুত জাতীয়তাবাদের অপরাজনীতির রাষ্ট্রকাঠামো।

বস্তুবাদী জাতীয়তাবাদ পরস্পরকে শত্রু বানায়, যার ফলে রাষ্ট্র ও দুনিয়ার সম্মিলিত মালিকানা থেকে সব মানুষকে বঞ্চিত করে তা গোষ্ঠীবাদি হীন স্বার্থে কুক্ষিগত করে রাখার রাষ্ট্র কাঠামো অবৈধভাবে দাড় করায়। এই কাঠামো দুনিয়ায় মুলুকিয়ত তথা স্বৈরদস্যুতা তথা Autocracy হিসেবে পরিচিত।

বস্তুর উর্ধে মানবসত্তার পুনরুজ্জীবন তথা স্রষ্টার আলোয় আলোকিত মানুষ গড়ার মহান দিশারি আল্লামা ইমাম হায়াত বিশ্ব ইনসানিয়াত বিপ্লব প্রবর্তনার মাধ্যমে ইনসানিয়াত এর বৈশিষ্ট্যকে জাগ্রত করছেন পুনর্বার। দুনিয়ায় ইনসানিয়াত নেই বিধায় এন্টি ইনসানিয়াত মুলুকিয়ত কায়েম করে রেখেছে।

অন্যদিকে, আল্লামা ইমাম হায়াতের দিক নির্দেশনায় ইনসানিয়াতের উদয় হচ্ছে বিধায় খেলাফতে ইনসানিয়াত(Authority of life & state & world of universal humanity) এর রুপরেখা পুনরায় পুনরুজ্জীবিত হচ্ছে৷ আসুন, আমরা সব মানুষ বিশ্ব ইনসানিয়াত বিপ্লব কে এগিয়ে নিই। ইনসানিয়াতের দুনিয়া ছাড়া এন্টি ইনসানিয়াতের উৎখাত কখনোই সম্ভব নয়।

মন্তব্য করুন